যদি আমি আসি, শেখ হাসিনাকেও আসতে হবে: আদালতকে খালেদা জিয়া

নাইকো দুর্নীতি মামলায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করতে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বিশেষ জজ আদালতে শুনানিতে হাজির হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শুনানি শেষে এই আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবীর আগামী বুধবার এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। ঢাকা বিশেষ আদালত-৯–এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে।

শুনানির এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, আদালতে যদি আমি আসি, তা হলে উনাকেও (শেখ হাসিনা) আসতে হবে। কারণ উনি যেই প্রক্রিয়াটা শুরু করেছিলেন, সেটি আমি অব্যাহত রেখেছি।

এ সময় বিচারক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মামলার আসামি নন। কাজেই তাকে এখানে হাজির করানোর কোনো প্রশ্ন ওঠে না।

এর পর এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন।

প্রথমে মওদুদ আহমদ আজ শুনানি না করার জন্য আদালতে একটি দরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু আদালত সে দরখাস্ত নামঞ্জুর করে তাকে শুনানিতে অংশ নিতে নির্দেশ দেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বরে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন ও রুল দেন। প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করেন।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক আমিনুল ইসলাম ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।