হেভিওয়েট প্রার্থীরা কে লড়বেন কার বিপক্ষে

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে গোটা দেশ মেতে উঠেছে ভোট উৎসবে।

সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পুরোপুরি নেমে পড়েছে নির্বাচনের মাঠে। থেমে নেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও। সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেতাকর্মীরা।

ভোটের উৎসবে থেমে নেই বিভিন্ন দলের পেশাজীবীরাও। নায়ক-নায়িকা, শিল্পী, খেলোয়াড়, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার পরিচিত মুখগুলো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য পছন্দের দলগুলো থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করছেন।

তবে আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি এখনো কোনও জোট। তাই চূড়ান্ত হয়নি মনোনয়ন। তবে মহাজোট এবং ২৩ দলীয় জোট, জাতীয় পার্টি, ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত। হেভিওয়েট প্রার্থীদের কে কোথায় লড়ছেন, আর তাদের বিপক্ষে ভোটের মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থী থাকবেন কারা তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কার্যক্রম। তিনি লড়বেন গোপালগঞ্জ-৩ আর রংপুর-৬ আসনে।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আসন নোয়াখালী-৫। তবে ওই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। কুষ্টিয়া-৩ আসনে লড়বেন মাহবুব উল আলম হানিফ। আর মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ আসনে।

ঢাকা-১৩ আসনে প্রার্থী হতে পারেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। একই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। আমির হোসেন আমুর আসন ঝালকাঠী-১। তোফায়েল আহমেদ লড়বেন ভোলা-১ আসনে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন আন্দালিব রহমান পার্থ। নড়াইল-২ আসনে থেকে ফরম কিনেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি। সবার আলাদা দৃষ্টি থাকবে এই আসনের দিকে।

আইনি জটিলতায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ধোঁয়াশা না কাটলেও তার জন্য দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে তিনটি আসন থেকে।

ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭। এদিকে, আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমকে ঘিরে ফেনী-১ (ফুলগাজী-পরশুরাম-ছাগলনাইয়া) আসনে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী তার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। এতদিন যারা দলীয় প্রার্থিতার জন্য প্রচার চালিয়েছেন তারা এখন নাসিমের সঙ্গে এক হয়ে দলের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই কারণে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে নাসিমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা একাত্ম হয়েছে।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় তারা প্রত্যেকে আলাউদ্দিন নাসিমের সঙ্গে থেকে সমর্থন জানিয়েছেন। মনোনয়নপত্র কেনার সময় নাসিমের সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল বাশার তপন, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ঢাকার ফেনী সমিতির সভাপতি শেখ আবদুল্লাহ।

এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল লড়বেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে। এ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ রন্দ্র সেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ সাতক্ষীরা-৪, ঢাকা-১৭ ও রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন করতে চান।

রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪, জিএম কাদের লালমনিরহাট-৩, রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১ ও ৪ আসনে। এছাড়া আ স ম রব ঢাকা-১৮, কাদের সিদ্দিকী-টাঙ্গাইল ৮, ও অলি আহমেদ লড়বেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনে। রাশেদ খান মেনন নির্বাচন করবেন ঢাকা-৭ আসনে। এবং হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনে। সূত্র: বাংলাদেশ প্র্রতিদিন