যশোর-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ের ব্যাপারে আশাবাদী অপু

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসনের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু।

অমলেন্দু দাস অপু ১৯৮৭ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জগ্ননাথ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে জগ্ননাথ হল শাখার আহবায়ক হন। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক ও জগ্ননাথ হল শাখার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে। রাজনীতি প্রজ্ঞা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের কারনে ছাত্ররাজনীতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন অমলেন্দু দাস অপু। রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসাবে সকলের নজর কাড়ে। ১৯৯১ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য পরবর্তীতে সম্পাদক মন্ডলী সদস্য, যুগ্ন সম্পাদকের মতন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়ে।তিনি কেশবপুরে মন্দির ভিক্তিক স্কুল প্রতিষ্ঠা, মন্দির, মাদ্রাসা, উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। দলের দূরদিনে দলীয় প্রধানদের নিদেশনা অনুযায়ী এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন দলকে সুসংগঠিত করবার জন্য।

রাজনীতি প্রজ্ঞা রাজপথের লড়াকু নেতা অপু তার সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। রাজপথের প্রায় সকল আন্দোলনে তাকে দেখা যায়।

অমলেন্দু দাস অপু জানান, দলীয় মনোনয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। শুধুমাত্র ১৯৭৯ সালে একবার বিএনপির প্রার্থী গাজী এরশাদ আলী বিজয়ী হন। এরপর আর বিএনপি বিজয়ী হতে পারেনি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি।

জোটের শরিক জামায়াত ও সংখ্যালঘু ভোটার কাছে টেনে, আওয়ামী লীগের দুর্গে হানা দিতে চায় বিএনপি। সেক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থীকে অবশ্যই ব্যক্তি ইমেজে সংখ্যালঘু ভোটার, জোটের শরিক জামায়াত ও আওয়ামী লীগের কোন্দলের দুর্বলতায় আঘাত হানার যোগ্যতা থাকতে হবে এমন প্রার্থী দিতে হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। তেমন প্রার্থী ছাড়া এই আসনে জয় লাভ কঠিন হবে। ৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী গাজী এরশাদ আলী ও জামায়াতের মাওলনা সাখাওয়া হোসেনও ব্যক্তি ইমেজ দিয়ে আওয়ামী লীগের দূর্গে জয় লাভ করেছিলেন দাবি তৃণমূলের। ফলে এবার প্রার্থী বাছাইয়ে কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে বিএনপিকে। দলীয় মনোনয়ন ক্রয় ও জমাদান পরবর্তীতে কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী তা নিয়ে চায়ের দোকান, রেষ্টুরেন্টসহ বিভিন্ন হাটবাজারে চলচ্ছে বিশ্লেষন।