গ্রামের কাগজের সাংবাদিক ফয়সলের দাদার মৃত্যু, শোক

দৈনিক গ্রামের কাগজের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফয়সল ইসলাম ও গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সমিতির জোন প্রতিনিধি আজগর আলীর দাদা তাইজুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না নিল্লাহী….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ১শ’ ৭ বছর।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ৬ ছেলে ও ৫ মেয়ের জনক তাইজুল ইসলাম এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয়জন ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বগেরগাছি গ্রামের তার বড় মেয়ে পারুল বিবির বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি তার শারিরীক অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়। ২১ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মেয়ের বাড়িতে থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাইজুল ইসলামের মরদেহ যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে আনা হয়। শেষ বারের মতো তাকে দেখতে ছেলে, মেয়ে ও তাদের সন্তান-সন্ততিসহ বালিয়া ভেকুটিয়াসহ আশপাশের এলাকার শত শত মানুষ ভীড় করে। ঈশার নামাজের পর বালিয়া ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন তারই পৌত্র হাফেজ তাহ্ইয়াতুল ইসলাম মুন্না।

নামাজে জানাজায় অংশ নেন আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, মৃতের ছেলে খোরশেদ আলম, জামাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, ইউসুফ আলী, ইউপি মেম্বর মতিয়ার রহমান, সাবেক মেম্বর শহিদুজ্জামান শহিদ, যুবলীগ নেতা আলমাস হোসেন, বিএনপি নেতা খায়রুল ইসলামসহ তার আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজন। জানাজা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তার সহধর্মীনি প্রয়াত ফাতেমা বিবির পাশে তাকে দাফন করা হয়।

তাইজুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, গ্রামের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আঞ্জুমানারা, নির্বাহী সম্পাদক আসাদ আসাদুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি দেওয়ান মোর্শেদ আলম, সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ হাকিম, চিফ রিপোর্টার এম আইউব, চিফ ফটো রিপোর্টার এম এ মানিকসহ কাগজ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ।