যেভাবে চীন-মার্কিন বাণিজ্য লড়াই থেকে লাভবান বাংলাদেশ

us china

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত লাভবান হয়েছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই যুদ্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন- দুই দেশই বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির অর্ডার বাড়িয়ে দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে টেক্সটাইল বিষয়ক বিশেষায়িত সংবাদমাধ্যম জাস্ট স্টাইলস।

এতে বলা হয়, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু কাশেম খান সম্প্রতি রাজধানীতে একটি সেমিনারে বলেন, ‘(যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায়) চীন বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য যুতসই মুহূর্ত।’

খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ওপর চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি লিখেছেন বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য ইন্সটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলি আহমেদ। প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘ট্রেড ওয়্যার অ্যান্ড ইটস ইমপ্লিকেশন্স ফর বাংলাদেশ।’
আলি আহমেদ বলেন, চীনের গার্মেন্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করতে পারে আশঙ্কায় বিদেশী ক্রেতারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ-মুখী হচ্ছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তবে অতটা বেশি নয়। আলি আহমেদের মতে, এর মূল কারণ হলো বেশিরভাগ বিদেশী ক্রেতাই বাংলাদেশের বদলে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকছে।

বাংলাদেশে এই যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে যা-ই লাভ হয়েছে, তা আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চীনের মুদ্রা রেনমিনবির পতন হওয়ায়। তবে তার আশা, চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও চীন যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বন্ধ করেছে, সেহেতু বাংলাদেশ তুলা কিনতে পারছে কমমূল্যে। চীনের ওই সিদ্ধান্তের কারণে ইতিমধ্যেই তুলার দাম ১০ শতাংশ পড়ে গেছে।

এছাড়াও দক্ষ শ্রমিকের অভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চহারে শুল্ক আরোপের ফলে চীনে কিছু শিল্পের পণ্য উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। চীনা এসব শিল্প মালিকরা নতুন গন্তব্য খুঁজছেন। তারা বাংলাদেশেও বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। এ দিক থেকেও লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ।