চলে গেলেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফজলে রাব্বী

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী আর নেই। বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।

ফজলে রাব্বী চৌধুরী অনেক দিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণ, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ফজলে রাব্বীর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক জামিরা গ্রামের মরহুম স্কুলশিক্ষক আহসান উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।

ভাই বাদশা চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ফজলে রাব্বী চৌধুরী অনেক দিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে ভোটের মাঠে আসতে পারছিলেন না। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর ভোটের মাঠে আসার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ ঢাকার নিজ বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামের বাড়িতে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।

ফজলে রাব্বী চৌধুরী ১৯৩৪ সালে ১ অক্টোবর পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক জামিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গাইবান্ধা-৩ আসনে জাতীয় পার্টির টিকিটে ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত (১৯৯৬ বিতর্কিত নির্বাচনসহ) ৬ বার সাংসদ নির্বাচিত হন। টি আই এম ফজলে রাব্বী জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

১৯৮৪ সালে এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন ফজলে রাব্বী। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। সে সময় ফজলে রাব্বী ভূমিমন্ত্রী, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী ও সংস্থাপনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।