রাবিতে কোটা আন্দোলনের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক নেতাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করে বলে জানা গেছে। তবে ওই আন্দোলনের রাবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফের দাবি, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম মাজহারুল ইসলাম। তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মাজহারুল বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে মারধরকারীর কাউকেই চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মাজহারুল।

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে মাজহারুল বলেন, টিউশনের লিফলেট বিতরণ করার জন্য আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বসে আলোচনা করছিলাম। এসময় কয়েকজন যুবক এসে আমাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং জানতে চাই আমরা এখানে বসে কী করছি? জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। পরে তারা আমাকে মারধর করে ওখানে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে সেখান থেকে আমার বন্ধুরা আমাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর আশেপাশের এলাকায় টিউশনের লিফলেট বিতরণ করার জন্য মাজহারুলসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে বসে আলোচনা করছিল। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে মাজহারুলকে মারধর করেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘মাজহারুল নামের ওই ছেলেকে মারধর করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। তবে বিকেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে খবর দেয় যে, শহীদ মিনারে টিউশন লিফলেট বিতরণের আলোচনার নামে ছাত্রদল ও শিবিরের ছেলেপেলে মিটিং করছে। খবর পেয়ে আমি ওখানে যাই। গিয়ে আমি কোনো মারধরের ঘটনার কথা শুনিনি, দেখিওনি।’