ভাবি কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ভাতিজিকে হত্যা!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে শিশু হালিমা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে হালিমার চাচা হেলাল মিয়া ও তাঁর সহযোগী রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার সকালে জেলা পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘গত ২ ফেব্রুয়ারি শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে তিন বছরের শিশু হালিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম এ বিষয়ে তদন্ত চালায়। তদন্তের একপর্যায়ে একই বাড়ির বাসিন্দা হালিমার চাচা হেলাল মিয়াকে আটক করা হয়।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘(হেলালকে) জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে একপর্যায়ে জানতে পারলাম যে, হালিমার বাবা সহজ-সরল প্রকৃতির লোক এবং রাজমিস্ত্রি। সে কাজের জন্য তাঁকে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তো হেলাল তার ভাবিকে একবার কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটা নিয়ে বিচার-আচারও হয়েছিল। প্রায় মাসখানেক আগে সাংসারিক, পারিবারিক কাজকর্ম নিয়ে হালিমার মায়ের সঙ্গে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি ও হেলালের ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া (পূর্বের অপমানের) প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হেলাল পরিকল্পনা করে যে ভাতিজি হালিমাকে হত্যা করে সে প্রতিশোধ নেবে।’

‘জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার কথা সে (হেলাল) স্বীকার করে এবং জানায়, ঘটনার দিন সকালে সে কৌশলে চিপস দেওয়ার কথা বলে হালিমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে সহযোগী রুবেলের সহায়তায় শিশুটিকে হত্যা করে দুটি বহুতল ভবনের মাঝখানে ফেলে যায়।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২ ফ্রেব্রুয়ারি শহরের ভাদুঘর এলাকায় নিখোঁজের পর খুন হয় হালিমা খাতুন। সে এলাকার রাজমিস্ত্রি আমির হোসেনের মেয়ে।