রাবি ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীতাহানী করার অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি: প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে ¯œান চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মানিক। ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মতিহার হল ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে বিরক্ত করে আসছে ছাত্রলীগ কর্মী মানিক। এছাড়া ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে ফোন করতেন উনি। বিভাগের বড় ভাই হওয়ায় আমি কয়েকবার তার সাথে কথা বলেছি। এরপর যখন তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া শুরু করেন তারপর থেকে উনার ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দেই। তবুও তিনি আমাকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে ফোন দিয়ে ক্লাস শেষ হওয়ার পর আমাকে দেখা করতে বলেন। ক্লাস শেষ হলে বিকেল ৫ টায় তিনি বিভাগের সামনে আমাকে দাঁড় করান এবং আমার সঙ্গে জরুরী কথা আছে বলে ¯œান চত্বরে নিয়ে যান। সেখানে তিনি আমাকে পুনরায় প্রেম প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য জোর-জবরদস্তি করতে থাকেন। আমি বারবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করি। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবে রাজি করতে না পারায় একপর্যায়ে তিনি আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে হাত দেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী আরো বলেন, ‘আমি খুবই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তিনি আমাকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়েছেন। হয়তো আমার আর এখানে পড়াশুনা করা হবে না। আমি পড়াশুনা বাদ দিয়ে বাড়ি চলে যাবো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ওই কর্মী মানিকের ফোনে ফোন দেওয়া হলে (মোবাইল নং-০১৭৭০০০৯৪৩৮) তিনি রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন মানিক আমাদের ছাত্রলীগ কর্মী না।

ইতিহাস বিভাগের সভাপতি ড. মর্তুজা খালেদ বলেন, ‘ঘটনাটি মাত্র শুনলাম। কাল বিভাগে গিয়ে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। অভিযোগের সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’