মনিরামপুরে ভাইয়ের হাতে বোন খুন

যশোরের মনিরামপুরে নুরজাহান বেগম (৫৬) নামে এক গৃহবধু খুন হয়েছে। জমা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাই আব্দুর রহিম গাছি দা (খেজুর গাছ কাটা দা) দিয়ে কুপিয়ে নুরজাহান বেগম হত্যা করে।

নুরজাহান উপজেলার গালদা গ্রামের আলা উদ্দীনের স্ত্রী। রহিম বিজয়রামপুর গ্রামের এনায়েত আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার বিকেলে পৌর এলাকার বিজয়রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়রা রহিমকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে রহিমকে আটক ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে।

রহিমের স্ত্রী সালমা জানায়, ঘটনার সকালে ননদ নূরজাহান তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। দুপুরের খাবারের পর ভাই-বোনের সাথে জমা-জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় ননদ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তায় গেলে তাকে ধরে নিয়ে আসে ভাই রহিম। এরপর ঘরে থাকা দা দিয়ে এলাপাতাড়ি কোপায় নুরজাহানকে। এসময় রহিমের স্ত্রী সালমা ঠেকাতে গেলে তাকেও মারতে উদ্যত্ত হলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নুরজাহান বাড়ির উঠানে পড়ে ছটফট করতে থাকে। এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম মৃত ঘোষনা করেন।

জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের শরীরের ৬টি জখমের চিহ্নসহ মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

রহিমা জানান, তার স্বামী হিং¯্র প্রকৃতির। এর আগে তুচ্ছ ঘটনায় রহিমার বাবাকে ( রহিমের শ্বশুর) দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলতে যায়। কিন্তু সেবার তার বাবা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।

থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আব্দুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। তবে, জমা-জমি বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন।