ভারতের সাবমেরিন রুখে দিল পাকিস্তান

পাকিস্তানের নৌবাহিনী দাবি করেছে, তাদের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতের একটি সাবমেরিনকে রুখে দেয়া হয়েছে।

সোমবার রাতে সাবমেরিনটি সনাক্ত করার পর নৌসেনারা রুখে দেয় বলে খবর দিয়েছে ডন ও আলজাজিরা।

সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে হামলা পাল্টা হামলা নিয়ে পরমাণু শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।

মঙ্গলবার নৌবাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তানের জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টাকালে নৌবাহিনী তাদের বিশেষ দক্ষতা দিয়ে ভারতীয় সাবমেরিনটি সনাক্ত করে এবং তড়িৎ তাকে পিছু হটতে বাধ্য করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘শান্তির প্রচেষ্টা চলছে। এজন্য পাকিস্তান ভারতীয় সাবমেরিনটিকে লক্ষ্যবস্তু বানাইনি। নিরাপদে ফেরত পাঠিয়েছে। এর অর্থ পাকিস্তান সত্যিকার অর্থেই শান্তি চায়।’

এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরেও একবার ভারতীয় সাবমেরিন পাকিস্তানের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে, সফলভাবে সনাক্ত করে সেটি রুখে দেয়।

সমুদ্রসীমা থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পাকিস্তানের জলসীমা। ২০১৫ সালের তথ্যে, এরপরই ২ লাখ ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে দেশটির এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন। এই এলাকায় বিনা অনুমতিতে যে কারও প্রবেশ নিষেধ।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পুলিশ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় ৪২ জওয়ান নিহত হয়। পরে জইশ-এ মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে।

হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত দেশটির ভূখণ্ডে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে বোমা ফেলা এবং বহু সন্ত্রাসী হতাহতের দাবি করে। হতাহতের তথ্য না জানালেও পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতীয় বিমানকে সফলভাবে রুখে দিয়েছে।

এরই মধ্যে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান এবং এর একটির পাইলট অভিনন্দনকে আটক করে। যদিও শান্তি চায় উল্লেখ করে পরে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে ইমরান খানের সরকার।

তবে, এতেও পাক-ভারতের কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা থেমে নেই। প্রায় প্রতিদিনই উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলাবারুদ ছুড়ছে।

ভারতের সাবমেরিন রুখে দেয়ার ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন…