ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে তারা জিতলো কীভাবে: তথ্যমন্ত্রী

hasan mahamud
ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন যারা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলো, তারাও-তো ভিপিসহ অন্যান্য পদে জিতেছে। আমার প্রশ্ন, ডাকসুর নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে তারা জিতলো কীভাবে?

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, নেতৃত্বের বিকাশের জন্য ছাত্রসংসদের কোনো বিকল্প নেই। আমি আজকের অবস্থানে কখনো আসতে পারতাম না যদি, স্কুলের শিক্ষা না থাকতো।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন নির্বাচন হয়, তখন আমি ছাত্র না। এরপরও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। এগুলো নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে প্রচ- সহায়ক। আমি আশা করবো, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও শিগগিরই চাকসুর নির্বাচন হবে।’ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে।

সেখানকার প্রশাসন কিছু ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে। সেটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। যারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল তারাও-তো জয়লাভ করলো।

গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশ ঘটে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে ছাত্ররা কেউ কম্পিউটার সায়েন্স কেউ ব্যবসায় প্রশাসন আর কেউ আইন বিষয়ে পড়তে চায়। বিজ্ঞানের ছাত্র হতে চায় কম। এ জন্য এখন গবেষণা কমে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণ করে গবেষণার উপর। আমাদের সময়ে বাবারা ভালো ছাত্রদের রসায়ন, পদার্থ এগুলোই পড়াতেন। গবেষণার উপর বিশেষ করে রসায়ন বিভাগের আরো জোর দেওয়া প্রয়োজন। গবেষণার জন্য আরো ফান্ড সরকারের কাছে চাওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যার ওপর রেটিং হয় না। গবেষণার মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য উচ্চতায় যেতে পারে। আমেরিকার কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে এতো গবেষণা হয়, সেখান থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছে।

দু’দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবদুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম, সুবর্ণ জয়ন্তী আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মনির উদ্দিন।