যশোরের চুড়ামনকাটিতে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে ফসলি জমি

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির বাগডাঙ্গা থেকে আবাদি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের মৃত ওসমান গণির ছেলে মাহমুদুল হাসান ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বাগডাঙ্গা গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান তার নিজের ফসলি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক’শ একর আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি। নষ্ট হয়ে গেছে ওই এলাকার জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে তার নিজের ৫ বিঘা জমি। কেননা যেখান থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে তার পাশেই তাদের জমি। ওই পুকুরের জন্যে তার ৫ বিঘা জমি ভেঙে পুকুরের মধ্যে চলে যাচ্ছে। আর বালু উত্তোলন এলাকার পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়ছে। আর প্রতিদিন ট্রলি ও ট্রাক দিয়ে বালু পরিবহনের ফলে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে বাগডাঙ্গার পাকা সড়ক হতে ফসলি জমিতে যাওয়া একমাত্র চলাচলের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা।
একাধিক বার থানায় অভিযোগ করলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে আবাদকৃত ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে জমিতে যাওয়া একমাত্র রাস্তাটি।

ভুক্তভোগী মাহবুদুল হাসানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে অভিযোগ করেন, ৮ মার্চ তিনি যশোর ভূমি অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে একাধিক বার সাজিআলী ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাদের মতো একাধিক পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছেন কিন্তু তারা কেউ চেয়ারম্যানের ভয়ে মুখ খুলছে না। তিনি এক সপ্তাহ আগে জমির পাশের থেকে বালু উত্তোলনে বাধাদিতে গেলে একই বাগডাঙ্গা গ্রামের লিয়াকম আলীর ছেলে শাহীন, মাজিদ বিশ্বাসের ছেলে মনিরুল ইসলাম, শান্তি বিশ্বাসের ছেলে টিপু, ঝড়ো তরফদারের ছেলে খোকা তাকে মারধোর করে জমি থেকে বের করে দেয়। তার পরিবার এখন চেয়ারম্যান মুন্নার সন্ত্রাস বাহীনির ভয়ে দিন যাপন করছেন। তিনি অতি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।