স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয় ধর্ষকরা

rap

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার ধর্মপুর গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ শেষে ভোরে চলন্ত অটোরিকশা থেকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরীর মা কসবা থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। পুলিশ ওই কিশোরীর ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে ২২ ধারা জবানবন্দি নেন। পরে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার কসবা সদরের একটি স্কুল ছুটি হওয়ার পর ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরী বিকালে বাড়ি যাওয়ার পথে উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে আবদুর রশিদের ছেলে ফারুক মিয়া (২৮) একই গ্রামের শাহরিয়া এবং মিঠু পাঠানের সহযোগিতায় জোরপূর্বক অটোরিকশায় করে তাকে ধর্মপুরে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। রাতে ফারুকের বাড়িতে এনে পুরনো একটি ঘরে আটকে রেখে উপর্যুপরি রাতভর ধর্ষণ করে। স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় বিকেল থেকে রাতভর বাড়ির লোকজন মেয়েটির সন্ধানে সকল আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যোগাযোগ করে কিশোরীর মা।

পরদিন সোমবার সকালে ফারুক এবং তার সহযোগীরা মেয়েটিকে চলন্ত অটোরিকশা থেকে তার বাড়ির পাশে ফেলে চলে যায়। কিশোরীর আত্মচিৎকারে লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ওই মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে থানায় মামলা করতে বলেন। বাবা প্রবাসে থাকায় শিশুটির মা গত মঙ্গলবার রাতে ফারুকসহ তিনজনকে আসামি করে কসবা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর আসামিরা পলাতক রয়েছে।

কসবা থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো. বেলাল হোসেন বলেন, শিশুটি ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতের বিচারক ফারজানা আক্তারের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে শিশুটিকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের কথা আদালতের কাছে বলেছেন।

কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তার মা থানায় মামলা করেছেন। এতে ফারুকসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।