যশোরের নওয়াপাড়ায় নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট

নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন, সমুদ্র ও রাত্রিকালিন ভাতা নির্ধারণ, কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকেরা।

গতকাল সোমবার (১৫/০৪/১৯) রাত ১২টা এক মিনিট থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।

শ্রমিকদের এ কর্মবিরতিতে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নৌবন্দরে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌযান থেকে সকল প্রকার পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজও বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নওয়াপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হক রিকো বলেন, ‘কেন্দ্রের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি নওয়াপাড়ায় সর্বাত্মকভাবে পালিত হচ্ছে। ১১ দফা দাবিতে নওয়াপাড়ায় রাত ১২টা এক মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। নওয়াপাড়ায় নৌযান শ্রমিক রয়েছেন প্রায় চার হাজার। শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। মঙ্গলবার নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদে অবস্থানরত ৩০০ বার্জ, কার্গো ও কোস্টার থেকে কোনো প্রকার পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ হয়নি।’

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সার, সিমেন্ট, রড, পাথর, কয়লা ও চালের অন্যতম বড় ব্যবসাকেন্দ্র নওয়াপাড়া। বিদেশ থেকে সার, বিভিন্ন প্রকার খাদ্যশস্য, কয়লা, বড় জাহাজে করে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে আসে। সেখান থেকে বার্জ, কার্গো ও কোস্টারে তা নওয়াপাড়ায় আনা হয়। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ বার্জ, কার্গো ও কোস্টার নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদে অবস্থান করে। সেখান থেকে নামানোর পর এসব পণ্য ট্রাকে করে দেশের উত্তর, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৬/০৪/১৯) সকালে দেখা গেছে, অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদে অবস্থানরত বার্জ, কার্গো ও কোস্টার থেকে পণ্য খালাস করা হয়নি।

নওয়াপাড়ার সার ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বার্জ, কার্গো থেকে কোনো সার লোড আনলোড হয়নি। মঙ্গলবার কোথাও সার পাঠানো সম্ভব হয়নি।