শেয়ারবাজারে বড় দরপতন, গণঅনশন

দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সবকটি সূচকে বড় দরপতন হয়েছে। কমেছে লেনদেনের পরিমানও। ডিএসইর প্রধান সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অপর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩৫ পয়েন্টে নেমে গেছে।

মূল্য সূচকে এ পতনে ডিএসইতে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিন শেষে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৭টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।

মূল্য সূচক ও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। টাকার অঙ্কে দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ১০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬০২ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার।

এদিকে টানা দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে দুপুরে ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ’র ব্যানারে এই প্রতীকী গণঅনশন শুরু করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বেলা ২টার পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে উপস্থিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের গণঅনশনে সংহতি প্রকাশ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

বেলা পৌনে তিনটার দিকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর রশিদ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে জুস খাইয়ে গণঅনশন ভাঙান মেনন। গণঅনশন থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগসহ ১২ দফা দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা।