যশোরে সোহাগ পরিবহনের ধাক্কায় আহত আজাদের ক্ষতিপূরণ মেলেনি

যশোরে সোহাগ পরিবহনে চাপায় গুরুত্বর আহত আবুল কালাম আজাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে সংবাদ সম্মেলনের পরও তার পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। সোহাগ পরিবহন কর্তৃপক্ষ এখনো আবুল কালাম আজাদের কোন খোঁজখবর নেয়নি। আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পবিরহন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগোযোগ করা হলে তারা দায়সারা কথাবার্তা বলছে। ফলে জাপান ফ্রেন্ডশীপ বাংলাদেশ হাসাপাতালে আইসিইউতে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন আবুল কালাম আজাদ।

এর আগে ঢাকা অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ইতোমধ্যে তার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে ১৩ লাখ টাকার চিকিৎসার খরচ দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তার চিকিৎসার জন্য এখনো প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা। যা পবিবারের পক্ষ থেকে যোগাড় করা সম্ভব নয়।

গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার যশোরের খাজুরায় ভাটারামপুরে সোহাগ পরিবহনে দুর্ঘটনার শিকার হন আবুল কালাম আজাদ। তিনি মোটরসাইকেলের পেছনে বসেছিলেন। তার ভাইয়ের ছেলে আলিউল্লাহ মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। সোহাগ পরিবহনের একটা বাস পিছন থেকে এসে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে ধাক্কায় আলিউল্লাহার মৃত্যু হয়। আবুল কালাম আজাদ মারাত্মক আহত হন। বর্তমানে আবুল কালাম আজাদ জাপান ফ্রেন্ডশীপ বাংলাদেশ হাসাপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছে। প্রতিদিন ৩৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এর আগে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখানেও তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
সোহাগ পরিবহন কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে তার খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। বার বার আবেদন করা হলেও এখনো তারা কোন আর্থিক সহযোগিতা করেনি। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছেন আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুও প্রহর গুণছে স্বজনরা।

ইতোমধ্যে তার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে ১৩ লাখ টাকার চিকিৎসার খরচ দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আর টাকা যোগাড় করে না দিতে পারলে আবুল কালাম আজাদকে আইসিইউ থেকে বের করে দেয়া হবে। এত টাকা খরচের সামর্থ তার পরিবারের নেই।

গত ১৮ এপ্রিল প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম আজাদের সুচিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন তার শিশু সন্তান তানভির রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তানভির সোহাগ পরিবহনকে তার পিতার চিকিৎসার খরচ বহনে বাধ্য করতে প্রশাসনের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন। কিন্তু এখনো পর্যন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। দ্রুত আবুল কালাম আজাদের পাশে প্রশাসন অথবা সোহাগ পবিরহন কর্তৃপক্ষ দাঁড়ালে তার মৃত্যু অবধারিত বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। এজন্য তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।