বাঘের গর্জন শুনে বেসামাল ভারতীয় গণমাধ্যম

ক্রিকেটে বাংলাদেশকে অজ্ঞতাবশত হেয় করা ভারতের গণমাধ্যমের পুরোনো অভ্যাস। সুযোগ পেলেই ভারতের গণমাধ্যম বাংলাদেশকে নিয়ে মনগড়া সংবাদ ছাপিয়ে দেয়। অনেক সময় এতে তাদের অজ্ঞতা প্রকাশ পায়, যা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা নষ্ট করে। এবারও সেই একই কাজ করেছে ভারতের গণমাধ্যম।

রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পরও বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করছে ভারত। দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, বাংলাদেশের এই জয় অঘটন। ভারতীয় গণমাধ্যম বোঝাতে চেয়েছে, বাংলাদেশ হঠাৎ করে এমন একটা জয় পেয়েছে, যেটা তাদের প্রত্যাশা ছিল না।

ভারতীয় গণমাধ্যম জেনেও না জানার ভান করছে। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন এই দলের বিপক্ষেই ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে পাত্তাই পায়নি ভারতীয় ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় ভারত।

ভারতের পর বাংলাদেশ সফরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলার নেতৃত্বে সেই সফরে আফ্রিকা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে।

শুধু তাই নয়! ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে এই বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে গেছে ভারত। মাশরাফির গতির মুখে পড়ে ১৯১ রানে অলআউট হওয়া রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন ভারতকে ৫ উইকেটে হারায় হাবিবুল বাশারের দল।

২০১২ সালের এশিয়া কাপে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ভারত টাইগারদের জয়ে কুর্ণিশ করার পরিবর্তে হেয় করছে।