ঈদের সকালে ঢাকায় ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি, সারাদিনই ঝরবে

বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব উদযাপন করছেন মুসল্লিরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মুসল্লিরা বৃষ্টিতে ভিজে ঈদগাহে জড়ো হন। বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় রেখেই দেশের বিভিন্ন স্থানে খোলা জায়গায় ঈদগাহের পাশাপাশি মসজিদে-মসজিদে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকাস্থ আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বুধবার ও কাল বৃহস্পতিবার সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ৩৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ ও আশপাশে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে জানিয়েছে শাহীনুল ইসলাম বলেন, দেশের পাঁচটি বিভাগে ভারি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ।

বৃষ্টির কারণে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। আগামী দুদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।

সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যস্ততম ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর, ফার্মগেট, বিজয় স্মরণি, আগারগাঁও এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমতে দেখা গেছে। এসব এলাকায় কোথাও কোথাও ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি বিকল হয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে সেগুলোকে র‍্যাকার দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না, তারা বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রাস্তায় বাসের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় সকালে রিকশার সংখ্যাও ছিল কম।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টির কারণে এই পানি জমেছে। আর ভারি বৃষ্টি না হলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানি নেমে যাবে। তবে দিনভর বৃষ্টি হলে ভিন্ন কথা।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার তথ্য সংশোধন করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আজকের ঈদের কথা জানায়।

আজ সকাল ৭টায় বায়তুল মুকাররমে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের নামাজে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা হয়।

ঈদ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি অফিস ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক লেখা পতাকায় সাজানো হয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।

ঈদ উপলক্ষে কারাগার, হাসপাতাল, সরকারি শিশুকেন্দ্র, ছোটমনি নিবাস ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সূত্র: এনটিভি