ঈদের বন্ধে নোয়াখালীতে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল ২০০ দোকান

নোয়াখালীর চৌমুহনীর ইসলাম মার্কেটে শুক্রবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মার্কেটের দুই শতাধিক দোকানের মধ্যে প্রায় সবকটি দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

ঈদের বন্ধের মধ্যে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে চৌমুহনী, মাইজদী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সকাল ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই তাঁরা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেন। মার্কেটে প্রায় ২০০ দোকান রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ দোকান পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে স্টুডিও, গ্লাসের দোকান, স্টেশনারী, আবাসিক হোটেল, বসতঘর রয়েছে।

হুমায়ুন কবীর আরো বলেন, অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ঈদের বন্ধের মধ্যে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনী। এখানের বিভিন্ন মার্কেটে পাইকারি ও খুচরা মালামাল বিক্রি হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, অগ্নিকাণ্ডে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, খুব সকালে হঠাৎ করেই একটি দোকানে আগুন লাগে। পরে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। আধাঘণ্টা পর এসে ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা সবখানে ছড়িয়ে পড়ে।