সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা রোববার শপথ নিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে বিরোধী দলকে নিপীড়ন-নির্যাতন করে সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। দেশের জনগণের পক্ষে এবং সরকারের দুর্নীতির কথা বলার জন্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে শপথ নিয়েছি।’
শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি ও ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে রুমিন ফারহানা এমপি রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আজ দুপুরে শপথ গ্রহণ করেছেন।’
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা দলের একক প্রার্থী হিসেবে সংরক্ষিত আসনটিতে নির্বাচনের জন্য গত ২০ মে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রয়াত ভাষা সংগ্রামী অলি আহাদের মেয়ে রুমিন ফারহানাকে ২৮ মে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
বিএনপি সংসদে তাদের পাঁচ নির্বাচিত সদস্যের বিপরীতে নারীদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসন পেয়েছে। টেলিভিশন টকশোর পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার রুমিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে আলোচনায় আসেন। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উকিল আবদুস সাত্তারকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।
৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাতটি আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি সবাই শপথ নিয়ে সংসদে গেছেন।
জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তাদের মোট সাধারণ আসনের অনুপাতে বণ্টন করে দেওয়া হয়। এতে বিএনপি একটি আসন পায়।
