যশোর পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট প্রকাশ

যশোর পৌরসভার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর নাগরিক মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে উন্মুক্ত বাজেট প্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাজেটে মোট আয় ১৩৫ কোটি ৫৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩০ টাকা। আর মোট ব্যয় ১৩৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭ টাকা এবং উদ্বৃত্ত ২ কোট ৯৯ লাখ ৯৬৩ টাকা ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) যশোরের সহযোগিতায় ও যশোর পৌরসভার আয়োজনে প্রস্তাবিত এ উন্মুক্ত বাজেট পেশ করেন পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু।

অনুষ্ঠানে পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার বলেন, ‘পৌরসভার আয়তন ও সীমানা আরো বৃদ্ধি করা হবে। বাজেটে কোন ধরণের বর্ধিত করারোপ করা হয়নি’।

আগামীতে শহরের নীল রতন ধর রোডে ডিভাইডার করে মাঝখানে গাছ লাাগনো হবে। এছাড়া মুজিব সড়ককে ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। এ সকল কাজ অচিরেই শুরু হবে। লালদীঘিকে আরো দৃষ্টিনন্দন করে সকলের ব্যবহার উপযোগী করা কবে। এবারের বাজেটে শহর বজ্যমুক্তকরণ ও মশক নিধনের জন্য পর্যাাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দরিদ্র, এতিম ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য পৌর তহবিল থেকে বৃত্তি ও আর্থিক অনুদান দেয়া হবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য বাজেট বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। শহরের যেসকল এলাকায় এখনো সড়কবাতি নেই সেখানে সড়কবাতির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

যশোর পৌরসভার আয়োজনে, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), যশোর’র সহযোগিতায় পৌরসভা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত বাজেট প্রকাশ অনুষ্ঠানে জনগণের সাথে নিবিড়ভাবে মতবিনিময় করেন পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ও কাউন্সিলরবৃন্দ। এতে সভাপতিত্ব করেন সনাক সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দাস। স্বাগত বক্তব্য দেন পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। পৌরসভার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পৌরমেয়রের পক্ষে উপস্থাপন করেন পৌর সচিব আজমল হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সনাক যশোরের স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক ও দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার এ. এইচ. এম. আনিসুজ্জামান।

বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি একরামুদ্দৌলা, আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জিএম ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড: সেতারা খাতুন, দৈনিক লোকসমাজের সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এবারের বাজেটে বস্তি উন্নয়নের জন্য ৪ কোটি, মশক নিধনের জন্য ১২ লক্ষ এবং বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।