যুবলীগ নেতা মনিরুল হত্যায় ৯ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন

mamla rai

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচিত যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুল হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা অর্থদ- দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার ২ আসামীকে যাবজ্জীবন, প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত আলী এ রায় প্রদান করেন। মামলার ১২ জন আসামীর উপস্থিতিতে এর রায় প্রদান করা হয়। বাকি ৩ আসামী পলাতক রয়েছে।

মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বালিয়াদিঘী গ্রামের মৃত আলী ঘোষের ছেলে মো. আখিরুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত মামলত হোসেনের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চতুরপুর মহল্লার সেন্টু কাপড়িয়ার ছেলে তহুরুল ইসলাম টুটুল, নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রশিকনগর গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে মো. আবদুল মালেক, রশিকনগর গ্রামের মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে সেন্টু, মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের হাজী মনজুর হোসেনের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের পারচৌকা রানিনগর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মো. মাসুদ রানা (পলাতক), কানসাট ইউনিয়নের চরভবানিপুর গ্রামের মো. কশিম উদ্দিনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম, ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের কাঠালিপাড়া গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম (পলাতক)।

যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন, রাজশাহী জেলার বেলেপুকুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন বাবুর স্ত্রী মোসা. পারুল বেগম (পলাতক), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের মৃত মোকবুল হোসেনের ছেলে মো. মাসুদ ওরফে লাল চাঁন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪শে অক্টোবর সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দাওয়াত খাওয়ার নাম করে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশ করে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরে ওইদিন রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় তখনকার সিএন্ডএফ অ্যসোসিয়েশনের নেতা আখিরুল ইসলাম. সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, তহুরুল ইসলাম টুুটুলসহ ১৫ জনকে আসামী করে নিহতের স্ত্রী রহিমা বেগম শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে, গত ২০১৫ সালের ১৫ই জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তৎকালিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মতিউর রহমান সিদ্দিকী।

সাক্ষ্য প্রমাণাদি শেষে আজ দুপুরে বিচারক এ রায় দেন। তবে এ মামলায় ৪ জন আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হল- ওবাইদুর রহমান, সেলিম রেজা, সেনাউল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম।