বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের তুলকালাম

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বহিস্কৃত ছাত্রদল নেতা ও তাদের কর্মী সমর্থকরা তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছে। বিক্ষুব্ধরা কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। কার্যালয় থেকে বের হওয়া নেতাকর্মীদের পিটিয়েছে তারা। এছাড়া কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পদত্যাগ দাবি করে। তাদের তোপের মুখে পড়েন দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল আবারও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সহস্রাধিক নেতাকর্মী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বয়সসীমা তুলে দিয়ে নিয়মিত কমিটির দাবিতে একটি মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন।

তারা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ অবস্থান কর্মসূচি চলার পর কার্যালয়ের বিদুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনকারীরা।

অন্যদিকে কার্যালয়ের ভেতরে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহানগর বিএনপির কয়েকশ’ নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। আন্দোলনকারীরা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কিছু করলে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। কিন্তু ঘটছে তার উল্টো। কার্যালয়ের ভেতর থেকে কেউ বের হলে তাকে পেটানি দিচ্ছে ছাত্রদলের আন্দোলনকারীরা।

এদিকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মধ্যে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয়ে আসেন মিলন। এ সময় আন্দোলনকারীরা তাকে ঘিরে ধরেন। তাকে কার্যালয়ের সামনে থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

মিলনকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষুব্ধরা বলেন, সিন্ডিকেটের জন্য আজ কমিটির এই অবস্থা। এসব অবৈধ সিন্ডিকেট আমরা মানি না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা যাব না। এখানে আপনি থাকলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় আমরা নেব না।

এদিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি শেষে চলে যাওয়ার সময় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশ এলাকায় পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়ছ। এছায়া আরো একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় দেখা যায়। দুপুর সোয়া একটার পরে এই ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

তবে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কারা জড়িত সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। পরে বেলা দেড়টার আজকের মতো আন্দোলন শেষ করে চলে যায় বিক্ষুব্ধরা। এ সময় কার্যালয় থেকে একটু দুরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায়ে আগামীকাল ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়।