অন্যরকম রেকর্ড সাকিব-মুশফিক জুটির

চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় মাত্র ২৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তামিম ইকবালও। তাই দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

তৃতীয় উইকেটে সাকিব ও মুশফিক জুটি ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ভালো সংগ্রহের পথ দেখান। এদিনের ম্যাচের এটি সর্বোচ্চ জুটি।

আর এতেই ওয়ানডেতে এই জুটির তিন হাজার রান পূর্ণ হয়। শেষ পর্যন্ত তিন হাজার ১৭ রানে থামেন তাঁরা।

ব্যক্তিগত ৫১ রানে সাকিব সাজঘরে ফেরেন। ৬৯ বলে একটি চারের মার দিয়ে ইনিংসটাকে সাজান তিনি। আউট হন লেগ স্পিনার মুজিবের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে।

আর মুশফিক ফেরেন ৮৭ বলে ৮৩ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে। বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত পারেননি তিনি। তবে অসাধারণ এই ইনিংস খেলে দলের এই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়তে মূল অবাদান রাখেন তিনি।

এদিন সাকিব আরো একটি কীর্তি গড়েন। বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক হাজার রান করেন তিনি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ২৭ ম্যাচ খেলে ১০১৬ রান করেন তিনি।

এ ছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপে রান সংগ্রহের ক্ষেত্রে আবার সবার ওপরে উঠে গেছেন সাকিব। বিশ্বকাপে এখন তাঁর মোট সংগ্রহ ৪৭৫ রান। সাত ম্যাচে তিনটি হাফঞ্চেুরি ও দুটি সেঞ্চুরিতে এই রান করেন তিনি। আর ওয়ার্নার ছয় ম্যাচে ৪৪৭ রান করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। আর তৃতীয় স্থানে থাকা জো রুটের সংগ্রহ ৪২৪ রান।

চলমান বিশ্বকাপে দারুণ উজ্জ্বল সাকিবের ব্যাট। এখন পর্যন্ত সবকটি ম্যাচেই দারুণ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। আজ সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।

এদিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব ওয়ানডেতে ছয় হাজার রানের মাইলফলক গড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত ২০৪ ম্যাচে নয়টি সেঞ্চুরি ও ৪৬টি হাফসেঞ্চুরিতে ছয় হাজার ১৯৩ রান করেন তিনি।