যে কারণে বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েই যাচ্ছেন সাকিব

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছেন সাকিব। রয়েছেন ক্যারিয়ারসেরা ফর্মে। ব্যাট-বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। দুই বিভাগেই সমানভাবে আলো ছড়াচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ধারাবাহিক সাকিবকে দেখা গেছে। এক অর্থে আফগানদের একাই হারিয়ে দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি হাঁকানোর পাশাপাশি বোলিংয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক তিনিই।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছেন সাকিব। এর সুবাদে টুর্নামেন্টে ফের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী বনে গেছেন তিনি। ৪৭৬ রান নিয়ে টেবিল টপার বাংলাদেশের নয়নমণি।

বল হাতেও ছড়ি ঘোরাচ্ছেন সাকিব। আফগানদের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকারে আসরের সর্বোচ্চ ১০ উইকেট শিকারির তালিকায় ঢুকে গেছেন তিনি। ১০ উইকেট নিয়ে অষ্টম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন এ টাইগার।

সাকিব জ্বলে ওঠায় প্রজ্বলিত হচ্ছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবে টিকে আছেন টাইগাররা। সাত ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে তারা। বাকি দুই ম্যাচে জয় পেলেই সেই স্বপ্নপূরণ হবে।

সর্বোপরি নিজের ও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট সাকিব। আফগানদের ৬২ রানে হারানোর পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেন, বিশ্বকাপটা দারুণ যাচ্ছে আমাদের। সৌভাগ্যবশত আমরা টুর্নামেন্টে দুরন্ত সূচনা করতে পেরেছি। তাই সমর্থকরা আমাদের সঙ্গে আছেন। ৫ উইকেট প্রাপ্তিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি। মাঠে ফিফটির জন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।

বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেন, মুশফিক গুরুত্বপূর্ণ নক খেলেছে। সেটি ছাড়া এ রান আমরা পেতাম না। আমরা জানতাম তাদের তিন কোয়ালিটি স্পিনারকে খেলা কঠিন হবে। সুতরাং দলীয় প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক ছিল। বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর আগে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এর ফল পাচ্ছি।

তিনি বলেন, অবশ্যই এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। আমাদের পরবর্তী দুই ম্যাচ ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। নিশ্চিতভাবেই ম্যাচ দুটি অনেক বড়।