প্রতিবন্ধি হাবিবুল্লাহকে ঈদের পোশাক ও হুইল চেয়ার দিল সংস্থা স্বজন

যে ছেলেটি আজ বই, খাতা, আর কলম নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো স্কুলে। ছিলো সহপাঠীদের সাথে আনন্দ আর উল্লাসে মেতে থাকার কথা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সে হয়েছে প্রাতবন্ধি। আর দশটি শিশুর মত হতে পারত তার চলমান জীবন। পড়া লেখা করার ইচ্ছাও ছিল তার। পরিবারে দুই বোন আর দুই ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট। বাবা সামান্য একজন দিনমজুর এবং নানাবিধ অসুখে আক্রান্ত মা তিনি আছেন সবসময় ঔষধ আর বিভিন্ন পথ্যে। রড় দুইবোন আছে শশুরবাড়ী। বড় ভাই সাতক্ষীরার তালা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। বড় ভাইয়ের পড়াশুনা, মায়ের চিকিৎসা, পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সবই ঠিকমত চালানো সম্ভব হচ্ছিলো না দিনমজুর বাবা রফিকুল গাজীর পক্ষে। কিছুটা সংসারের হাল, কিছুটা মায়ের চিকিৎসা ও ভাইয়ের পড়াশুনার জন্য এই প্রতিবন্ধী শিশু হাবিবুল্লাহ আজ তার নিজের চাওয়া ভুলে গিয়ে নেমেছে ভিক্ষার ঝুঁলি নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে। তিনকোনা বাঁশ আর বিয়ারিং চালিত গাড়িতে চলতেও বেশ কষ্ট হয় ওর।

আসন্ন ঈদুল আযহায় শনিবার বিকালে স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা স্বজন সংঘ’র রেল রোডস্থ কার্যালয়ে প্রতিবন্ধি শিশু হাবিবুল্লাহকে নতুন পোশাক ও সুন্দরভাবে চলাচলের জন্য হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।
প্রতিবন্ধি শিশু হাবিবুল্লাহ সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শাহাপুর গ্রামের রফিকুল গাজীর ছেলে। বর্তমানে যশোর শহরের চাঁচড়ার, রায়পড়ায়র রামকৃষ্ণ রোডে ভাড়া থাকেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বজন সংঘ’র সহ-সভাপতি নিত্য গোপাল সাহা, প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সাধন কুমার দাস, সহকারী সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার নন্দী, দপ্তর সম্পাদক সঞ্জয় কুমার মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবক মিকাইল হোসেন, কুয়াশা রাহা প্রমুখ।