ভোলা সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ‘ক্রসফায়ারে’ নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ভোলা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিখর জানান, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের আলামিন (২৫) ও ছেলে মঞ্জু।
নিহত আলামিন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ির পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ধর্ষণে অভিযুক্ত নিহত দুজনকে শনাক্ত করেন বলে বার্তা সংস্থার ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মাদ কায়সার দাবি করেন, গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
ঈদের আগের রাতে সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়। সেই ঘটনায় সন্দেহভাজন ছিলেন আলামিন ও মঞ্জু।
এর আগে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে প্রতিবেশী আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রী লিজার কাছে মেহেদি দিতে যায়। কিন্তু লিজা ঘরে না থাকার সুযোগে তাদের বাসায় ভাড়াটিয়া আলামিন ওই ছাত্রীকে ঘরে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে সহযোগী মঞ্জুকে নিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।