এবার ঈদ ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে লম্বা ছুটি মেলায় ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীদের ভীড় বেড়েছে দ্বিগুন। বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে পাসপোর্টযাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের শৃঙ্খলা সহ আনুষ্ঠানিকতার কাজ করতে। সেই সাথে বেড়েছেও কিছু দালালদের উৎপাত। এগুলো নিয়ন্ত্রনের কাজে বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ইমিগ্রেশন পুলিশসহ কয়েকটি নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সংস্থা।
বুধবার সকাল ৭ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় দেখা গেছে দীর্ঘ ১ কিলোমিটার জুড়ে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের লাইন। এরই মধ্যে কিছু বহিরাগত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে যাত্রী আগে ইমিগ্রেশন আগে প্রবেশ করার। সাথে তাদের কাছে জন প্রতি ৫শত থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করার ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব দালালদের উৎপাত রোধ করতেও হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ একজন দালালকে আটক করেছে বলে ইমিগ্রেশন কনষ্টবল ওবাইদুর রহমান জানান।
পাসপোর্ট যাত্রী শিলা ঘোষ বলেন, এবার ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়ায় তারা আজ ভারতে যাচ্ছে বেড়াতে। সরকারী ছুটির সাথে ব্যক্তিগত ছুটি নিয়ে তারা দর্শনার্থী স্থান দেখার জন্য যাচ্ছে ভারত। এছাড়া অনেকে চিকিৎসা ও ব্যবসা বানিজ্যর কাজেও ছুটছে।
ঢাকা থেকে আসা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আশরাফ হোসেন বলেন, ভারতের সাথে ব্যবসা থাকায় ছুটি পাওয়ায় কিছু জরুরী কাজ মেটাবার জন্য তিনি ভারত যাচ্ছেন।
খুলনার পাসপোর্টযাত্রী অনিমেস কুমার বলেন, ভারতে তাদের অনেক আত্মীয় স্বজন রয়েছে। চাকুরির জন্য সময় বের করা সম্ভব হয় না। তাই এবার সময় বের করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি যাচ্ছেন আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে।
ঢাকার পাসপোর্টযাত্রী ফারুক চৌধুরী বলেন, ভারতের সাথে বেনাপোল দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় এ পথে কোলকাতা যেতে সহজ হয়। কিন্তু বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ঢোকার আগে সরকারী ভ্রমন কর দিতে হয় ৫শত টাকা যা বর্হিবশ্বে কোথাও নেই। কিন্তু বেনাপোল ইমিগ্রেশন প্রবেশের আগে যাত্রী সেবার নামে একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল দেখিয়ে সেখানে আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা। কিন্তু স্লিপে আছে ৪২.৭৫ টাকা। সরকার এগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে।
যশোরের একজন সাংবাদিক বলেন, ভারত থেকে আসার পর একই সরকারের তিনটি সংস্থার কোন সমন্বয় না থাকায় পাসপোর্ট যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রথমে কাস্টমস এর পর কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা তারপর বিজিবি। একই ল্যাগেজ বার বার খুলতে খুলতে সাধারন মানুষ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। এতে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ম হচ্ছে। কারন এ পথে দেশী বিদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরাও যাতায়াত করে থাকে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর সেকেন্ডে অফিসার এস আই খায়রুল বলেন, ঈদের ছুটির জন্য পাসপোর্ট যাত্রীদের ভীড় বেড়েছে পর্যপ্ত। আমাদের সারাদিন চেকপোষ্ট এলাকায় তাদের শৃঙ্খলা ও ডেস্কে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হিম শিম খেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতে কোন দুর্ভোগে না পড়ে তার জন্য তাদের সেবা সঠিক ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করছি।