সাহায্যের জন্য আবেদন

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ আপনাদের একটু সহানুভূতিই পারে সাদিকুরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজার সংলগ্ন মথুরাপুর গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে সাদিকুর রহমান সাদিক (১৭)। সে স্থানীয় ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসা হেফজখানার একজন মেধাবী ছাত্র। তার পিতা পেশায় মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ মির্জাপুর কাজীপাড়া জামে মসজিদে ৪ হাজার ৫শত টাকা বেতনে কৌমলমতি শিশুদের পড়াচ্ছেন। তিনিই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। বেতনের এই সামান্য টাকায় স্ত্রী, ছেলে সাদিকুর ও মেয়ে আলিম ১ম বর্ষের ছাত্রী সাদিয়াকে নিয়ে কোন রকমে সংসার চালান।

জায়গা-জমি ও অন্যান্য সম্পদ বলতে তার মাথা গোজার ঠাই বাড়িটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। সাদিকুরকে নিয়ে তার পিতার চোখে মুখে অনেক স্বপ্ন। ছেলেকে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হিসাবে গড়ে তুলবেন। পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ভর্তি হন স্থানীয় ঐ হেফজখানায়। ২০১৬ সালের কথা ২০ পারা কোরআন মুখস্ত হয়েছিল সাদিকের। হঠাৎ করে তার পিছনের মেরুদন্ডে ব্যাথা অনুভব করলে পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার মেরুদন্ডের হাড় বাকা হয়ে যাচ্ছে। প্রায় দেড় বছর যশোর ও খাজুরাতে চিকিৎসা করালেও কোন লাভ হয়নি। ক্রমশ ব্যাথা বৃদ্ধি পেতে পায়। অসুস্থতার কারণে সে আর হেফজখানায় যেতে পারে না। এদিকে ছেলের অসুস্থতায় পিতার চিন্তার যেন শেষ নেই। পরে তাকে ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান অপারেশন করতে তিন লাখ টাকা লাগবে। সাদিকের পিতা দিশেহারা হয়ে ভিসা ও পাসপোর্ট করে ভারতের ভ্যালোরে সিনডম হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। তারাও জানান ওদেশের তিন লাখ টাকা লাগবে অপারেশন করাতে। টাকা যোগাড় করতে না পেরে অসহায়ের মত ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে সাদিকের অবস্থা খুবই করুন। অসয্য বাথ্যার যন্ত্রনায় গরীব পিতার মাটির কুঠিরে সে গুমরে গুমরে কাঁদকে।

এদিকে ছেলের এ অবস্থায় আব্দুর সাত্তার মানসিকভাবে একেবার ভেঙ্গে পড়েছেন। কি করবে খুজে পাচ্ছেনা যেন কিনারা। এ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এতে করে আতœীয়-স্বজন, ভাই-বোনসহ বিভিন্ন জনের কাছে ঋণগ্রহস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। বর্তমানে সাদিককে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা (অপারেশন) জন্য পুরনায় ভারতে নিতে হবে। প্রয়োজন তিন লাখ টাকার। এখন সমাজের দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে ছেলেটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে। ছেলেকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন পূরণ হবে গবীর পিতার। পরিপূর্ণ ৩০ পারা পবিত্র কোরআনের হাফেজ হতে পারবে সাদিক। তার সু-মধুর কন্ঠে শোনা যাবে কোরআনের বানী, তার পিছে নামাজ পড়বে শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

তাই মেধাবী এই ছাত্রকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাইলে উল্লেখিত তার পিতার সোনালী ব্যাংক বাঘারপাড়া শাখার সঞ্চয়ী এই হিসাব নং- ২৩০৩৬৩৪০১০৪২৮ এবং বিকাশ- ০১৪০৩৪১৩৭১৫ নম্বরে সাহায্য পাঠাতে পারেন। অথবা সরাসরি যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে এসে সাহায্য করতে পারেন।