ফের হাইকোর্টে জামিন চাইলেন ওসি মোয়াজ্জেম

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি (প্রত্যাহার হওয়া) মোয়াজ্জেম হোসেন।

বুধবার হাইকোর্টে তার জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে তিনি জজকোর্টে জামিন আবেদন করে ব্যর্থ হন।

বুধবার মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রত্যাহার হওয়া) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আদালত তার জবানবন্দি নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার মা ২৭ মার্চ থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে থানায় ডেকে নিয়ে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।

৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত। এ ঘটনায় পৃথক একটি মামলায় তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২৯ মে ফেনীর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।একুশ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেকের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। এ জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।’ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। অবশ্যই উচ্চ আদালতে যাব। এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে আছে তারেক রহমানের নির্দেশ মেনেই তারা সেদিন অপারেশন চালিয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের যেমন বিচার হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদেরও সর্বোচ্চ সাজা হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে দিন আওয়ামী লীগ সভাপতি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মূল টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছিলো। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তিনি যখন বেঁচে আছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হবে এ বাংলার মাটিতে। বাংলার মানুষ এর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আজকের দিনে আমাদের শপথ রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মোকাবিলা করবো।’

আরও পড়ুন: সিটি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ২০০৪ সালের এই দিনে তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান টার্গেট করে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাসীদের দিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে রক্তস্রোত বইয়ে দিয়েছিল বিএনপি-জামাত সরকার। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে যে কর্ম সম্পর্ক থাকা দরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে সেটা চিরদিনের জন্য শেষ করে দিয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পরেও খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া কি ব্যবহার করেছিলো সেটা দেশের মানুষ জানে। খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর শেখ হাসিনা পুত্র হারা মাকে সান্ত্বনা দিতে তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংলাপের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি।’

এর আগে, সকালে ‘গ্রেনেড হামলা দিবস’ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনগুলো।