উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আবারো আন্দোলনে রাবি শিক্ষার্থীরা

এক চাকরিপ্রত্যাশীর স্ত্রীর সঙ্গে উপ-উপাচার্যের ফোনালাপ ফাঁস ও উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ বক্তব্যের ঘটনায় উভয়ের পদত্যাগ দাবিতে পদযাত্রা, অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে শিক্ষার্থীরা খালিপায়ে পদযাত্রা শুরু করেন। এরপর জোহা চত্ত্বরে এসে অবস্থান কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এসময় তারা শহীদ ড. জোহা স্যারের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রাবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘উপ-উপাচার্যের ফোনালাপ শুধু নয়, এই প্রশাসনের শুরু থেকে যত ধরনের নিয়োগ হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য ইউজিসিকে আহবান জানাই। রাবির উপাচার্য সিনেট ভবনের মত জায়গায় ‘জয় হিন্দ’ বলে বাংলাদেশকে অবমাননা করেছেন। দুর্নীতিবাজ প্রশাসন যদি পদত্যাগ না করে তবে সারাদেশের সকল বিশ্ববিদালয়ে আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।’

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমম্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘উপাচার্য স্যারকে ‘জয় হিন্দ’ বলার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে, উপ-উপাচার্যকে দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণ করতে হবে। ইউজিসি এবং রাষ্ট্রপতিকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্তের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক চাকরিপ্রত্যাশীর স্ত্রীর সঙ্গে উপ-উপাচার্যের দর কষাকষি সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য চৌধুরি মো. জাকারিয়া এ ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে ফোনালাপটি ইডিট করা বলে দাবি করে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় চাকরিপ্রত্যাশীর সঙ্গে আইন বিভাগের সভাপতির দুই লাখ টাকা লেনদেনে একটি ফোনালাপ তুলে ধরে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি। তবে ওই ফোনালাপ দুই লাখ টাকা ধার নেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।

ফোনালাপ ফাঁসের পরপরই আন্দোলনে উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। একইসাথে, ‘জয় হিন্দ’ বক্তব্য দেয়ায় উপাচার্যেরও পদত্যাগ দাবি করে তারা টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পদত্যাগ না করলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।