যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে দশ দিনেও উদ্ধার এবং আসামিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ওই ছাত্রীর পিতা-মাতা হতাশ হয়ে পড়েছে। মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করার দাবি তাদের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুন্সি আনিসুর রহমান বলছেন, স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও মামলার আসামিদের আটকে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে, চুড়ামনকাটি গ্রামের আব্দুল আহাদের মেয়ে মেয়ে লিজা খাতুন ছাতিয়ানতলা চুড়ামনকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। ২২ সেপ্টেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে তার মেয়েকে চুড়ামনকাটি বাজারস্থ ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে থেকে সিএনজি গাড়িযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার উত্তর বেলাট গ্রামের সখের আলী বিশ্বাসের ছেলে ইমন, নজের আলী বিশ্বাসের ছেলে খোকন বিশ্বাস ও যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের দৌলতদিহি আতর আলী বিশ্বাসের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
আব্দুল আহাদ জানান, এ ঘটনায় ওই তিনজনকে আসামি করে ২৪ সেপ্টেম্বর যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ রুজু হয়।
তিনি আরো জানান, ইমন চুড়ামনকাটি বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতো। সবাই তাকে একজন মাদকসেবী হিসেবে চেনে। আমার নাবালিকা মেয়েকে প্রেম প্রস্তাব দেয়াসহ দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো ইমন। আমার মেয়ে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুন্সি আনিসুর রহমান জানান, অপহৃত স্কুল ছাত্রী লিজাকে উদ্ধারে তৎপর রয়েছি। তাকে উদ্ধার ও আসামিদের আটকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।