যশোরে দু’বছরের দন্ড প্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা

যশোরে নাজনীন নাহার (২৪) নামে এক গৃহবধূ সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি শহরতলী পুরাতনবসবা নতুন খয়েরতলা পালবাড়ি গাজীর ঘাট রোড এলাকার মৃত নুর আলী বিশ্বাসের মেয়ে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ঢাকাইয়াপাড়া আবু তালেবের ছেলে বহু বিবাহের নায়ক আবু হোসাইন পাপ্পুর সাথে যশোর নতুন খয়েরতলা পালবাড়ি গাজীর ঘাট রোড এলাকার মৃত নুর আলী বিশ্বাসের মেয়ে নাজনীন নাহারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কোনো দাবি না থাকলেও বিয়ের পর থেকে যৌতুতের দাবিতে স্বামী পাপ্পু, শ্বাশুড়ি মর্জিনা বেগম ও ননদিনী রিনা খাতুন তাকে নির্যাতন করতো। পরে নাজনীন নাহারের পরিবার যশোর কোর্টে একটি যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেন। আসামী পাপ্পু অভিযুক্ত প্রমান হলে আদালত তাকে দু’বছরের কারাদন্ড প্রদান করে। যার জিআর নং-৪১২/১০/পি-১৩৪২/১৯। নারী ও আদালত আসামী আটকের জন্যে কালীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামী পাপ্পু কালীগঞ্জ থানায় উৎকোচ দিয়ে আটক এড়িয়ে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, নাজনীনের সাবেক স্বামী পাপ্পু ফেসবুকেসহ বিভিন্ন সামাজিক সাইটে তাদের স্বামীর ও স্ত্রীর ঘনিষ্ট ছবি প্রকাশ করছেন। ১৩ অক্টোবর যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় পুনরায় একটি লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে। তার নং-১৩/১০। বহু বিবাহের নায়ক পাপ্পু দু’বছর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলার পৌর এলাকায় শারমিন আক্তার নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন যশোর শহরতলী পুরাতনবসবা পালবাড়ি এলাকার নাজনীন নাহারকে। তবে বর্তমান আদালতে নাজনীন নাহারের যৌতুক মামলায় তিনি সাজাাপ্রাপ্ত হওয়ায় এক বছর আছে সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের সেতু নামে এক নারীকে বিয়ে করেছেন। পাপ্পু প্রতিবছর নতুন একটি করে বিয়ে করে যৌতুক হাতিয়ে নিয়ে থাকে। নাজনীন নাহারের পরিবার প্রশাসনের কাছে আসামী আটক ও ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, পাপ্পু আদালতে দু’বছরের দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। তাকে আটকের জন্যে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতিদ্রুত আসামীকে আটক করা হবে।