এমপি বুবলীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার

বিএ পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করায় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করেছে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ। এমপি বুবলী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সন্ধ্যায় নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়ায় শিল্পমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বাগানবাড়িতে অনুষ্ঠিত দলীয় বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরুর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী-২ আসনের এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দীলিপ, নরসিংদী-৩ আসনের এমপি জহিরুল হক ভূইয়া মোহন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূইয়া, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক প্রমুখ।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতিক বলেন, তামান্না নুসরাত বুবলী বিএ পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দেশ ও বিদেশে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ও আওয়ামী লীগের সুনাম চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। সেজন্য তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।

পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করায় জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ ও দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আর সংসদ সদস্যের বিষয়ে সেটা দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিবেন।

এমপি বুবলী ২০১১ সালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নরসিংদী পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের স্ত্রী। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা অনুযায়ী, বুবলী এইচএসসি পাস।

তবে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে নিতে তিনি বাউবির বিএ কোর্সে ভর্তি হন। বুবলী ঢাকায় থাকলেও তার হয়ে নরসিংদীতে অন্যদের বিএ পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে গণমাধ্যমের খবরে। এই ঘটনায় বুবলীকে সব পরীক্ষা ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগ থেকে কোন চিঠি পাইনি। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে আমাকে সাংগঠনিক ভাবে শোকজ করা হবে। আমি তার জবাব দিব। তার ভিত্তিতে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিবে। তারা কিভাবে একক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। সূত্র: মানবজমিন