জমির ধান ভাগাভাগী কে কেন্দ্র করে কথাকাটি এক পর্যায়ে ভাইয়ের মারপিটে মুক্তা খাতুন (৩৫) নামে এক এনজিও কর্মির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর পোস্ট অফিস এলাকার মোড়ল পাড়ায়। এনিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়, নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোড়ল পাড়ার মৃত আমজাদ আলী মোড়লের মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩৫) শুক্রবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাড়িতে জমির ধান ভাগাভাগির হিসাবকে কেন্দ্র করে আপন (মেঝ) ভাই আজাদ হোসেনের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ভাই কর্তৃক নির্মম প্রহরের শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হন। একপর্যায়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্বজন ও স্থানীয়রা মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রূপদিয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক রেজাউল ইসলামের কাছে নিয়ে গেলে মুক্তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানালে স্বজনরা তাকে দ্রুত বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মৃতদেহ বাড়িতে নিলে আব্দুল আলিম নামের এক ভাই ও পরিবারের অনেকে প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করার জন্য মুক্তা খাতুন গ্যাসফর্ম ও হাইপ্রেসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে চাওর করতে থাকেন।
তবে ঘটনাটির খবর স্থানীয় নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পে পৌচ্ছালে ক্যাম্প ইনচার্জ যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় অবহিত করলে ওসি তদন্ত সংঙ্গিয় ফোর্স এনে মুক্তা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক( এসআই) সাইফুল মালেক জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে কি কারনে মুক্তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনাটি জিডি মূলে রাখা হয়েছে৷