যশোরে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকী দিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ, লম্পট গ্রেফতার

rap

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক অষ্টাদশীকে ধর্ষণ করে কৌশলে ভিডিও করে পরবর্তীতে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করায় ২ মাসের অন্তস্বত্বা হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করার পর পুলিশ ধর্ষক শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। সে ঝালোকাটি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার জয়খালি গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলার ইউসুফ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুস সালামের ছেলে।

কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা বর্তমানে যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার জনৈক ব্যক্তির বাড়ির ভাড়াটিয়া গৃহবধূ জানান, তিনি বিভিন্ন বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ইতিপূর্বে উক্ত ধর্ষকের ভাড়াকরা বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকা অবস্থায় ১৯ ডিসেম্বর ১৮ তারিখ গভীর রাত ২ টায় তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাইরে বের হলে লম্পট শহিদুল ইসলাম তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার ছবি কৌশলে শহিদুল ইসলাম তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণ করার পর উক্ত মেয়েকে ভিডিও দেখিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকী দেয়। ঘটনা ফাঁস করে দিলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে উক্ত বাড়িতে থাকা অবস্থায় শহিদুল ইসলাম ৩/৪জন ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে জুন মাসে তিনি বাসা ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া করেন। সেখানে থাকা অবস্থায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় লম্পট শহিদুল ইসলাম তার ভাড়া বাড়িতে এসে উক্ত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে অষ্টাদশী হঠাৎঅস্যুস্থ হয়ে পড়লে তার মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরে তাকে নিয়ে যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেখান থেকে জানানো হয় তার মেয়ে ৯ সপ্তাহের অন্তস্বত্বা। পরবর্তীতে তার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার মায়ের কাছে সব ফাঁস করে দেয়।
থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। রোববার শহিদুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অষ্টাদশীর ডাক্তারী পরীক্ষা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সোমবার সম্পন্ন হবে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পলাশ বিশ্বাস জানিয়েছেন।