বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, মন্ত্রী বলছেন ‘প্রধান নায়ক পেঁয়াজ’

M A Mannan
ফাইল ছবি

অস্থিরতা বিরাজ করছে দ্রব্যমূল্যের বাজারে। শাক-সবজি (আলু, পটল, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা) ও মসলাজাতীয় (পেঁয়াজ, রসুন ও আদা) ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে।

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ ভাগ, যা গত অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৪৭ ভাগ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৮ ভাগ।

২০১৮ সালের নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩৭ ভাগ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে। এতে বাড়তি মূল্যস্ফীতির পরিমাণ শূন্য দশমিক ৬৮ ভাগ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির এ তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘নভেম্বরের মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির বিষয়টি খুবই পরিষ্কার, আমরা গোপন করিনি। একনেক সভায় আমরা মন্তব্য করেছিলাম, মূল্যবৃদ্ধির প্রধান নায়ক হলো পেঁয়াজ। নতুন পেঁয়াজ নামার পরে স্থির হবে, মূল্য কমবে বলে আমার আশা।’

‘পাঁচ-সাত বছর ধরে দেখে আসছি, যে মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ে, ওই মাসে অটো খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমে। আবার যে মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বাড়ে, ওই মাসে খাদ্যে কমে। এটা ঘরে বসে সরেজমিন ধরনের হয়ে গেছে কি না? সরকারের যে লক্ষ্য, সেটা যেন স্থির থাকে, সে অনুযায়ী বিবিএস কাজ করছে কি না?’

এক সাংবাদিকের এমন জানতে চাওয়ার জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এটা আপনার ধারণা। এটাকে আমি সম্মান করি, তবে একমত নাও হতে পারি। তাছাড়া আমরা সেক্টর অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি দিচ্ছি না, এটা বাড়ছে, স্বীকার করি।’

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সঙ্গে বিবিএসের দেয়া মূল্যস্ফীতির মিল নেই বলেও সাংবাদিকরা জানান।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে নভেম্বরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৬ দশমিক ৪১ ও ৫ দশমিক ৩৭ ভাগ, যা গত অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৪৯ ও ৫ দশমিক ৪৫ ভাগ।

গ্রামীণ পর্যায়ে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ১ ভাগ, যা অক্টোবরে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৩৬ ভাগ। নভেম্বরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৬ দশমিক ৫৪ ও ৪ দশমিক ৯৯ ভাগ, যা অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৫৬ ও ৪ দশমিক ৯৬ ভাগ।

শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১২ ভাগ, যা অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ ভাগ। নভেম্বরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১১ ও ৬ দশমিক ১৩ ভাগ, যা অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৩১ ও ৬ দশমিক শূন্য ৯ ভাগ।

গত এক বছরের (২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৫৯ ভাগ বলে জানিয়েছে বিবিএস।