সফল অস্ত্রপচার সম্পন্ন হলো ঝিনাইদহের অসহায় সেই রাইসার

অবশেষে সফল অস্ত্রপচার সম্পন্ন হলো থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ঝিনাইদহের অসহায় সেই রাইসার। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন সম্পন্ন হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মাসফিকুর রহমান স্বপনের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল টিম প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার চেষ্টায় এ অপারেশন সম্পন্ন করে। এতে খুশি রাইসার পরিবার। জানা যায়, ঝিনাইদহ শহরের ভেন্নাতলা গ্রামের মা নাসিমা খাতুনের সাথে বসবাস করে ৭ বছর বয়সী রাইসা। জন্মের পর থেকেই সে আক্রান্ত থ্যালাসেমিয়া রোগে। তার পেট লোহার ন্যায় শক্ত ছিল। বাঁচার জন্য প্রতি মাসে লাগত ১ ব্যাগ রক্ত। জন্মের কয়েক বছর পর ছেড়ে গেছে পিতা। অসহায় মা নাসিমা খাতুন স্বামীর সংসারে স্থান না পেয়ে আছেন বাবার বাড়িতে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর জন্মদিনে ভেন্নাতলায় বস্ত্রবিতরণ করতে যায় কথন সাংস্কৃতিক সংসদের কর্মীরা ও পৌর মেয়রের পতœী আর্মিজা শিরিন আক্তার এ্যামী। সেখানে গিয়ে রায়সার খোঁজ পাই তারা। বিষয়টি পৌর মেয়র জানার পর তার সকল চিকিৎসার খরচ বহন করার আশ্বাস প্রদাণ করেন। সেই থেকে রাইসার চিকিৎসা শুরু হয়। রাইসার বয়স কম হওয়াই কোনো চিকিৎসক এ জটিল অপারেশন করার ঝুকি নিচ্ছিলেন না। পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (শিশু সার্জারী) ডা: মাসফিকুর রহমান স্বপন রাইসাকে দেখে তার অপারেশনের দ্বায়িত্ব নেন।

এ ব্যাপারে রাইসার মা নাসিমা খাতুন বলেন, আমার মেয়ের এ অসুস্থতার কারণে আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমার সন্তানের চিকিৎসা করালেন পৌর মেয়র। আমি কিভাবে তাকে ধন্যবাদ জানাবো তার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আপনার আমার মেয়ের জন্য ও পৌর মেয়রের জন্য দোয়া করবেন। সেই সাথে ধন্যবাদ জানায় কথন সাংস্কৃতিক সংসদের কর্মীদের। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, আমি নিজে অসহায়, এতিম মানুষ। আমি চেষ্টা করি এ ধরনের অসহায় এতিম মানুষের সাহায্য করার। কসাস যখন রাইসাকে আমার কাছে এনেছিল তখন টাকার অভাবে রাইসার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে ছিল। অসহ্য যন্ত্রনায় প্রতিমুহূর্ত রায়সা দিনাতীপাত করছিল। চেষ্টা করেছি তার সুচিকিৎসা করানোর। বিশ্বাস করি মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়, রায়সা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। দিন শেষে জয় হবে মানবতার। তার জন্য সকলে দোয়া করবেন।