কেশবপুরের সিদ্দিকের ইটভাটা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বারুইহাটি গ্রামে ইটের ভাটা পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ, পটল, ফুলকপি, ওলকপি, বাধাকপি ও শিমসহ শীতকালীন সবজি নষ্ট হচ্ছে। কয়েকশ’ পরিবার বিপাকে পড়েছে। রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে আমেনা বেগম এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আমেনা বেগম জানান, গ্রামবাসীর নিষেধ করার পরও কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ভাটার পাশেই রয়েছে বারুইহাটি মহিলা দাখিল মাদরাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও কিরাতী মাদরাসা। এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভাল্লুকঘর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসা। ভাটার গাড়িগুলো জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সব সময় আতংকে থাকে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। নারকেল গাছে ফল ধরছে না। ফুল নষ্ট হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস শীতকালীন সবজি। ভাটার জন্য সবজি চাষ এক সময় ধ্বংসের দিকে যাবে।
ভাটা মালিককে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের নাশকতা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এসময় তিনি ভাটাটি বন্ধ করতে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বারুইহাটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সাত্তার, মজিবার রহমান, নূর আলী, রনজু বেগম, হাজিরা বেগম, সুফিয়া বেগম, ঝর্ণা বেগম, মাজেদা খাতুন ও সবিরন নেছা প্রমুখ।

ইটভাটার কারণে স্থানীয়দের ক্ষতিগ্রস্থের বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরত জাহান জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।