পূজার দিনে ভোটের সিদ্ধান্ত অন্যায়: ড. কামাল

d kamal
ফাইল ছবি

সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত অন্যায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, অতীতে এ রকম পূজোর দিনে নির্বাচনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা অন্যায় সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।

৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ পরিবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন আছে কি-না প্রশ্ন করা হলে ড. কামাল হোসেন বলেন, নীতিগতভাবে এ দাবির পক্ষে রয়েছি।

সিটি নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের দলীয় প্রার্থী, মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করা এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনি জনসংযোগে বাধা ও হামলা প্রমাণ করে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

এ সময়ে ড. কামাল সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দু’টি করে মোট ৪টি পথসভা করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দেশের জনগণ নির্বাচনের পক্ষে। কারণ এর মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রে তার মালিকানা নিশ্চিত করতে পারে। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই মালিকানা নিশ্চিত হবে না।

ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা অভিযোগ করেন, নানা কারসাজির মাধ্যমে শেয়ার বাজার ধ্বংস করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সর্বশান্ত করা হয়েছে। শেয়ার বাজারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতি এমন ভয়ংকর অবস্থায় গেছে যে, একজন বাবা মাত্র ৬০০০ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে নিজ কণ্যাকে ধর্ষণের জন্য তুলে দিয়েছে পাওনাদারের হাতে। সরকার যখন উন্নয়নের ঢোল পেটাচ্ছে তখন মানুষের অভাব এবং অসহায়ত্ব কোনো পর্যায়ে গেছে এই ঘটনা তার এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

ড. কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন তালুকদার, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।