মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক।
এসময় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার নাম এখনও জানা যায়নি। তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার ভোর ৫টায় উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাতল চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, অতিরিক্ত মদ পানের কারণে মাতাল হয়ে নির্মল এই ঘটনা ঘটান।
নিহতরা হলেন- নির্মলের স্ত্রী জলি, শাশুড়ি লক্ষ্মী, প্রতিবেশী বসন্ত ও বসন্তের মেয়ে শিউলি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্মল ছাড়া চারজনই চা বাগানের শ্রমিক। পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্মল চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আজ ভোরে নির্মল ও ডলির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ডলিকে মারধর করতে থাকলে সে দৌড়ে অন্য ঘরে তার মা-বাবার কাছে চলে আসে।
এক পর্যায়ে নির্মল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডলিকে কোপাতে থাকে। মেয়েকে রক্ষা করতে শাশুড়ি ছুটে আসলে তাকেও কোপায় নির্মল।
এরপর বসন্ত ও শিউলি সেখানে আসলে দুজনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে সে। পরে চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত হলে নির্মল নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত খুনি নির্মল মাদকাসক্ত ছিলেন। তার বাড়ি এই এলাকায় নয়। বছরখানেক আগে ডলির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই ছিলেন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াসিনুল হক যুগান্তরকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার মূল কারণ উদঘাটনের জন্য চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানান তিনি।