সরকার খুব কৌশলে আমাদের পরাজিত করতে চায় : ফখরুল

mirza fokrul
ফাইল ছবি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছুড়ে ফেলে স্বচ্ছ ব্যালটের মাধ্যমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার খুব কৌশলে আমাদের পরাজিত করতে চায়।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারকে অনেক কৌশলী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার খুব কৌশলে আমাদের পরাজিত করতে চায়, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা আগের রাতে ভোট চুরি করে নিয়ে গেছে। এখন তারা সিটি নির্বাচনে নতুন করে পায়তারা করছে। আজকে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি তাহলে অবশ্যই এ নির্বাচনে আমরা তাদের পরাজিত করতে পারব।

তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে ইভিএম দিয়েছে। যেটা ভোট চুরির নতুন একটি কৌশল। আমরা বলছি, এই ইভিএম ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। এই ইভিএম দিয়ে নির্বাচন হবে না। স্বচ্ছভাবে ব্যালটে নির্বাচন দিতে হবে। আর এই দাবি আমাদের আদায় করতে হবে।

দেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, বিএনপির সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সুসংগঠিত হতে হবে।আজকে বিএনপির দায়িত্ব অনেক, যুবকদের দায়িত্ব অনেক। বর্তমান ফ্যাসিবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাই আমি বলি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমি খুব খুশি হতাম যদি এই আলোচনা সভায় আরও বেশি তরুণদের মুখ দেখতে পেতাম। আমি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলব, জিয়াউর রহমানের যে দর্শন, যে আদর্শ রেখে গেছেন সেগুলো যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে আর আমাদের কোনো দিকে তাকাতে হবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেগুলো আমাদের অনুসরণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই নব্য স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে বিতারিত করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহাবুবউল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাক্তার এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।