জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে না ভারত!

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারত কোনো সমর্থন পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে মিষ্টতা কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠতা যেমন মস্কোকে কিছুটা দূরে ঠেলেছে, তেমনই তালেবানকে নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় রাশিয়া ঝুঁকছে পাকিস্তানের দিকে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গত দেড় দশকে অনেক গুণ বাড়লেও কাবুলের কারণে ওয়াশিংটনের খুঁটি বাঁধা রয়েছে ইসলামাবাদের কাছে। আপাতত না হলেও ভবিষ্যতে ‘ভাল জঙ্গি, খারাপ জঙ্গি’-র তত্ত্ব ফের ভারতের সামনে খাড়া করতে পারে আমেরিকা— এমন আশঙ্কা থেকেই গিয়েছে সাউথ ব্লকে’।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের ভারতবিরোধী প্রস্তাব আটকাতে এখন ফ্রান্স ছাড়া কাউকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না বলে ইঙ্গিত করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘১৯৯৮ সালের ঠাণ্ডা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভারত যে ৩৫টি দেশের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি করে, তার মধ্যে প্রথম দেশটিই ছিল ফ্রান্স। এখনও পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক আস্থা সবচেয়ে ধারাবাহিক ভাবে রয়ে গিয়েছে এই দেশটির সঙ্গেই। বারবার যার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। চীনকে আটকে দেওয়ার ফরাসি পদক্ষেপ মৈত্রীর সেই সম্পর্ককে ফের সামনে নিয়ে এল। এই মুহূর্তে চাপে থাকা মোদী সরকারের বিদেশনীতির ক্ষেত্রে যা আশার সৃষ্টি করেছে।’

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর চীন এর তীব্র নিন্দা করে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি ভারত-বিরোধী প্রস্তাব আনতে চেষ্টা করে। বেজিংয়ের চাপে দু’বার বৈঠকও করেন পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-সহ মোট ১৫টি দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু দু’বারই বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে চীনকে হতাশ করে। সদস্য দেশগুলির বক্তব্য, বিষয়টি ভারত- পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তৃতীয় পক্ষের মাথা গলানোর প্রয়োজন নেই। আর নিরাপত্তা পরিষদ এ নিয়ে আলোচনা করার যথাযথ মঞ্চও নয়। ভারতের হয়ে এবং চীন-পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই বৈঠকজুড়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম দেশ ফ্রান্স।’