সাকিব-শিশিরের জন্য নিজে হাতে রান্না করে খাবার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

ক্রীড়ামোদী হিসেবে বরাবরই জনপ্রিয় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতি তার মায়া-মমতা ও ভালোবাসার মাত্রাটা যেন একটু বেশিই। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজাদের সঙ্গে তার সখ্যতার প্রমাণ মেলে প্রায়ই।

যার সবশেষ নজির দেখা গেল আজ (রোববার)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে খাবার রান্না করে পাঠিয়েছেন সাকিব আল হাসানের বাসায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের প্রোফাইলে এটি জানিয়েছেন খোদ সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির।

গতকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের পছন্দের খাবারের কথা জানিয়েছিলেন সাকিবপত্নী উম্মে আহমেদ শিশির। তার মনের ইচ্ছেপূরণ করতেই নিজ হাতে সেই খাবার রান্না করে সাকিবের বাসায় পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা।

খাবারের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে রান্না করা পোলাও, রোস্টসহ রসগোল্লা, গুড়ের সন্দেশ, ছানা ও শীতের পিঠা পাঠিয়েছেন সাকিব দম্পতির জন্য। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে সাকিব ও শিশির দুজনই আপ্লুত।

নিজের ফেসবুক পেজে খাবারের ছবিগুলো আপলোড করে সাকিব লিখেছেন, ‘এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ সম্ভবত আমি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ভালোবাসা পেয়ে আমি সত্যিই নির্বাক। তার নিজের হাতে রান্না করা খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য হলো আমার। তিনি আজ সকালে খাবারগুলো রান্না করে আমার বাসায় পাঠিয়েছেন।’

‘গতকাল (শনিবার) আমার স্ত্রী (উম্মে আহমেদ শিশির) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময়, নিজের পছন্দের খাবারের কথা জানিয়েছিল। তাই আজ প্রধানমন্ত্রী নিজে এগুলো রান্না করে পাঠালেন। তার কাছ থেকে এমন ভালোবাসা আমি সত্যিই ভুলতে পারবো না। এ জিনিসটা আজীবন আমার হৃদয়ে থেকে যাবে। আমরা সত্যিই অনেক বেশি ভাগ্যবান।’

একই ছবি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেন সাকিবপত্নী শিশিরও। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এর চেয়ে বেশি ভাগ্যবান হওয়া সম্ভব নয়! নিজের ইচ্ছাপূরণের জন্য এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যস্ত সময়ের মাঝেই নিজ হাতে রান্না করে খাবার পাঠিয়েছেন।’

‘গতকাল তার সঙ্গে দেখা করার সময় জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমার পছন্দের খাবার কী? তখন উত্তর শুনে বলেছিলেন, তিনি এগুলো নিজ হাতে রান্না করে আমাদের কাছে পাঠাবেন। আমি সত্যিই সপ্তাকাশে অবস্থান করছি এখন! জীবনের শ্রেষ্ঠতম মধ্যাহ্নভোজ হলো। প্রধানমন্ত্রীর এমন ভালোবাসার বিপরীতে ধন্যবাদ জানানোর যথেষ্ট ভাষা জানা নেই আমার।’