সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিয়ত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছালেহ হাসান নকীব বলেন, সীমান্তে একতরফা হত্যাকান্ড ঘটেই যাচ্ছে। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন প্রতিবাদ করছে না। ভারতের সঙ্গে এমন আরো পাঁচটি দেশের অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। সেখানে তারা অন্যায়ভাবে এমন হত্যাকান্ড ঘটাতে সক্ষম হয় না। শুধু প্রতিবাদ না করাতেই সীমান্তে ভারতীয় সৈন্য কর্র্তৃক প্রতিবছর শতশত বাংলাদেশিকে অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। যা আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাফ।
তিনি আরো বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিছু চোরাকারবারি লোক রয়েছে যারা বাংলাদেশে মাদক দ্রব্য পাচার করে। এতে করে ভারত লাভবান হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় যারা এসব চোরাকারবারী করে তাদের দমন করা এ সরকারের দায়িত্ব।
মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত ভারত সীমান্তে হত্যাকান্ড করে চলেছে। এদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে। এতে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। যার ফলাফল শতশত বাংলাদেশির লাশ। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সরকারকে নতুনভাবে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের ছাত্র আমান উল্লাহ বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করার অধিকার ভারতের নেই। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাই সমঝোতার মাধ্যমে। এদেশের মানুষের লাশ দিয়ে নয়। রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা সরকারের উচিত এদেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুজন রানা বলেন, বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তবর্তী এলাকায় আমার বাড়ি। সেখানে ভারতীয়রা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের দিকে তাক করে গুলি চালাতে দেখা যায়। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বাংলাদেশিদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদুল আলমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পদক মিলন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, বাংলা বিভাগের অর্বাক আদিত্য, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দুলাসহ প্রবীণ সাংবাদিক মাহমুদ জামাল কাদেরি প্রমুখ।#