যশোরে চাঁদার টাকাসহ দুই চাঁদাবাজ আটক

যশোরে চাঁদার এক লাখ টাকাসহ দুই চাঁদাবাজকে আটক করেছে পুলিশ। ফেসবুকে ফ্রেন্ডশীফ বানিয়ে অশ্লীল ছবি তৈরি করে ব্লাকমেইল না করার জন্য তারা ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল।

আটককৃতরা হলো, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার মিনকীকান্দী গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার কলাবাগান ক্ষিতিবদিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ও নড়াইল সদর উপজেলার কামারপ্রতাপ গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম।

মঙ্গলবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, যশোর উপশহর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মাহবুবুল হক যশোর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে মহাসিন হক (২০) উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণের জন্য চীন দেশে অবস্থান করছে। দেশে পড়াশোনা করার সময় তার ফেসবুকে মোহাম্মদ আলীর সাথে ফেন্ডশীপ হয়। তারপর তার মেয়ের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করে তিন বছর আগে থেকে বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করে আসছে। এসময় মোহাম্মদ আলীকে বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করলেও সে না শুনে ১ বছর আগে থেকে চাঁদাদাবী করে আসছে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে তার মেয়ের ছবি অশ্লীল আকারে ফেসবুকসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি মোবাইলের মাধ্যমে মাহমুদুল হকের মেয়ের নিকট ৬ লাখ চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তার বাবা মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি মেয়ের কাছ থেকে জানতে পেরে তিনি মোহাম্মদ আলীকে এসব না করার অনুরোধ করেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০ জানুয়ারি যশোর শহরের খাজুরা বাসস্টান্ডে এসে মাহাবুবুল হককে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফের চাঁদা দাবি করে।
বিষয়টি তিনি যশোর কোতয়ালি থানার পুলিশকে জানায়। ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় যশোর ঝিনাইদহ সড়কের বোর্ড ক্লাবের পাকা রাস্তার রেলক্রসিংয়ের সামনে মেয়ের পিতা মাহবুবুল হক চাঁদার ৬ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা মোহম্মদ আলীকে দেয়। আগে থেকে কোতয়ালি থানা পুলিশ ছদ্দবেশে সেখানে ওৎ পেতে থেকে চাঁদা নেয়ার সময় মোহাম্মদ আলী ও ইব্রাহিমকে হাতে নাতে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদার ১ লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ, কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম শেখসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।