মণিরামপুর থানায় সেবার সাথে মিলছে চকলেট !

যশোরের মণিরামপুর থানায় পুলিশিং সেবায় ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। মাত্র কয়েকমাস আগেও এই থানায় সেবাপ্রাপ্তি নিয়ে আগতদের মধ্যে নানা ধারণা থাকলেও সেটা কমেছে গত মাস থেকে। এখন থানায় সেবা নিতে আসা লোকজনকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি আপ্যায়ন স্বরুপ একটি করে চকলেট দিচ্ছেন দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার। থানায় মামলা, অভিযোগ বা সাধারণ ডাইরি করতে আসা সেবা গ্রহীতারা পাচ্ছেন এই চকলেট।

এছাড়া থানায় জিডি করতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোন প্রকার অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের যোগদানের পর থেকে এই সেবা চালু হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের নাম ও মোবাইল নম্বর সম্বলিত একটি সাইনবোর্ডও রয়েছে থানা চত্বরে। থানায় আগত কেউ পুলিশের আচরণে ক্ষুব্ধ হলে সরাসরি সেই নম্বরে কল করার জন্য আহবান করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে থানায় তথ্য আনতে গেলে ডিউটি অফিসারের টেবিলে একটি চকলেটের কৌটা দেখা যায়। ঠিক তখনই সেই কক্ষে অভিযোগের কপি জমা দিতে আসেন স্বরুপদহ গ্রামের শফিকুজ্জামান। তখন কৌটা খুলে তার হাতে একটি চকলেট দিতে দেখা গেছে ডিউটি অফিসার রাজু আহম্মেদকে।

jessore policeকৌতুহল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন এসপি স্যার যোগ দেওয়ার পর নির্দেশনা এসেছে, থানায় সেবা নিতে আগতদের একটি করে চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করতে হবে। এখন কোন ধরণের জিডি থেকে একটি টাকাও নেওয়া হয়না।’

সেবাগ্রহীতা শফিকুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ করতে থানায় এসেছি। ডিউটি অফিসার একটি চকলেট দিলেন। ভালই লাগল।’

জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জিডি বা মামলা কোনটায় টাকা-পয়সা নেওয়া হয়না। মণিরামপুরের মানুষকে সেবা দেওয়ার মানসিকতায় আছি। জনগণকে থানামুখি করতে এসপি স্যারের নির্দেশনায় আগতদরে চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করা হচ্ছে।’