যশোরে ৫২শ’ মোমবাতি প্রজ্জ্বলনে ৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরণ

ফাল্গুনের পড়ন্ত বিকেল। যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর জুড়ে ভিড়। মিনার প্রাঙ্গনে মহান ভাষা দিবসের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। যশোর সেনানিবাসের প্রয়াস স্কুলের নৃত্য পরিবশেনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। পরে দেশের গান পরিবেশন করেন সুরবিতান, উদীচী, সুরধুনী ও চাঁদের হাটের শিল্পীরা।

বিকেলের দিকে ভিড় জমলেও সন্ধ্যার পর সেটি উপচে পড়ে। সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংস্কৃতি প্রিয়দের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনারের পাদদেশ। ফলে উপচে পড়া ভিড়ে শহীদ মিনারে পা ফেলানো দুস্কর হয়ে ওঠে।

সন্ধ্যার পরের এসময়টাতে শহীদ মিনা বেদিতে জ্বালানো হয় পাঁচ হাজার দুইশ মোমবাতি। মোমবাতির এই আলোর বিন্দু উৎসর্গ করা হয় অমর একুশের ভাষা শহীদদের। রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশাপাশি যশোরের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নানান শ্রেণি পেশার মানুষজন এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলনে অংশ নেন। বায়ান্নশ’ মোমবাতির আলোয় উজ্জল হয়ে ওঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গন।

বৃহস্পতিবার যশোর অমর একুশের ভাষা শহীদদের স্মরণে এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করে। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট রবিউল আলম।

অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন ও যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। ধনবাদ জ্ঞাপন করেন চাঁদের হাটের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল। মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের পর ভাষা দিবসের গান পরিবেশ করা হয়। চাঁদের হাটের শিল্পীরা ভাষার গান পরিবেশন করেন।