ইউরোপ সীমান্ত বন্ধের জন্য ফোনের পর ফোন পাচ্ছি: এরদোগান

turkey president erdogan

তুরস্কের ইউরোপ সীমান্ত উন্মুক্ত প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, কয়েক মাস আগে শরণার্থী সমস্যা নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে সতর্ক করে বলেছিলাম-আমাদের বোঝা কিছুটা কমান না হয় আমরা সীমান্ত খুলে দেব। কিন্তু তারা (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) মনে করেছিল আমি তাদের সঙ্গে কৌতুক করছি।

তিনি বলেন, এখন ওই সীমান্ত এখন উন্মুক্ত। এখন সীমান্ত বন্ধের জন্য ফোনের পর ফোন পাচ্ছি।

এরদোগান বলেন, পশ্চিমারা শরণার্থী সংকটে যে সহযোগিতা করার কথা ছিল তা করেনি।

সোমবার ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)-এর প্রাদেশি অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল মিটিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। খবর হুররিয়াত ডেইলি নিউজের।

এরদোগান বলেন, আমরা সিরিয়া থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা লাখ লাখ শরণার্থীদের সমস্যা ও মানবিক সংকট সমাধানে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। এছাড়াও আমাদের দেশের নিরাপত্তার বিষয়টাও গুরুত্বপূর্ণ।দুটো বিষয়ই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পশ্চিমারা এ বিষয়টা নিয়ে অভিনব কিছু কথা বলে। তারা অভিবাসীদের নিয়ে আতংকিত, কিন্তু তাদের কাছে বাস্তবভিত্তিক কোনো সমাধান নেই।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, অভিবাসন স্রোত নিয়ে জার্মানি ও বুলগেরিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ইউরোপিয়ান দেশগুলো শরণার্থীদের বোঝা নিতে আগ্রহী না, এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য এসব সমস্যা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ব্যবস্থা নেবেন।

অভিবাসীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনার সমালোচনা করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে এরদোগান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

এরদোগান বলেন, শরণার্থীদের জন্য আমরা কয়েক বছর ধরে সেইফ জোন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। এ ইস্যুতে কোনো ইউরোপিয়ান দেশ আমাদের দৃঢ়তার সঙ্গে সমর্থন ও সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। এখন হাজার হাজার লাখ লাখ অভিবাসী ইউরোপ যাবে। শীঘ্রই এ সংখ্যা মিলিয়ন পার হবে।

এরদোগান আরও বলেন, আমরা তাদের (সিরিয়ান শরণার্থীদের) নিজেদের ভূমিতে সবাইকে মর্যাদাপূর্ণ জীবন ফিরিয়ে দিতে চাই। নতুবা সবাই মিলে তাদের ভাগাভাগি করে নিতে চাই।